গুয়াতেমালা প্রজাতন্ত্র República de Guatemala | |
---|---|
নীতিবাক্য: "País de la Eterna Primavera" "চিরন্তন বসন্তে দেশ" | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | গুয়াতেমালা সিটি |
সরকারি ভাষা | স্প্যানিশ |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | গুয়াতেমালান |
সরকার | ঐকিক রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র |
Alejandro Maldonado | |
Juan Fuentes | |
স্বাধীনতা | |
• স্পেন থেকে | ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮২১ |
আয়তন | |
• মোট | ১,০৮,৮৮৯ কিমি২ (৪২,০৪২ মা২) (১০৭তম) |
• পানি (%) | ০.৪ |
জনসংখ্যা | |
• জুলাই ২০১১ আনুমানিক | ১৩,৮২৪,৪৬৩ (৬৯তম) |
• জুলাই ২০০৭ আদমশুমারি | ১২,৭২৮,১১১ |
• ঘনত্ব | ১২৯/কিমি২ (৩৩৪.১/বর্গমাইল) (৮৫তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১১ আনুমানিক |
• মোট | $৭৩.০২২ বিলিয়ন[১] |
• মাথাপিছু | $৪,৯৬৫[১] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১১ আনুমানিক |
• মোট | $৪৬.৩৮৩ বিলিয়ন[১] |
• মাথাপিছু | $৩,১৫৪[১] |
জিনি (২০০৭) | ৫৫.১ উচ্চ |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১১) | ০.৫৭৪[২] ত্রুটি: মানব উন্নয়ন সূচক-এর মান অকার্যকর · ১৩১তম |
মুদ্রা | কেতসাল (GTQ) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি-৬ (কেন্দ্রীয় সময়) |
গাড়ী চালনার দিক | ডান দিকে |
কলিং কোড | ৫০২ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .gt |
গুয়াতেমালা বা গুয়াতেমালা প্রজাতন্ত্র (স্পেনীয় ভাষায়: República de Guatemala রেপুভ়্লিকা দ়ে গ়্ৱাতেমালা আ-ধ্ব-ব: ) মধ্য আমেরিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর উত্তর-পশ্চিমে মেক্সিকো, দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর-পূর্বে বেলিজ ও ক্যারিবীয় সাগর, এবং দক্ষিণ-পূর্বে হন্ডুরাস ও এল সালভাদোর। গুয়াতেমালা মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র। রুক্ষ পাহাড় ও আগ্নেয়গিরি, নয়নাভিরাম হ্রদ ও সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ এই দেশটিতে মধ্য আমেরিকার এক-তৃতীয়াংশ জনগণের বাস। উচ্চভূমিতে অবস্থিত গুয়াতেমালা সিটি (Ciudad de Guatemala সিউদাদ দে গুয়াতেমালা) দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। শহরটি জাতীয় জীবনের সমস্ত দিক নিয়ন্ত্রণ করে।
লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় গুয়াতেমালাতে আদিবাসী জাতির লোকেদের সংখ্যা অনেক বেশি। গুয়াতেমালার অর্ধেক জনগণই মায়া জাতির লোক। মায়ারা অতীতে এই অঞ্চলে একটি সমৃদ্ধ সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। দেশের বাকি অর্ধেক লোকেরা হল মেস্তিজো, অর্থাৎ ইউরোপীয় ও আদিবাসী আমেরিকানদের মিশ্র জাতি। এরা গুয়াতেমালাতে লাদিনো নামে পরিচিত।
গুয়াতেমালার সংস্কৃতি পুরাতন আর নূতনের মিশ্রণ। এর বিরাটসংখ্যক আদিবাসী জনগণ এখনও প্রাচীন রীতিনীতি ধরে রেখেছে। অন্যদিকে গুয়াতেমালা সিটি ও অন্যান্য শহর এলাকাকে কেন্দ্র করে লাদিনোরা আধুনিক ইউরোপীয় ও উত্তর আমেরিকান ধাঁচের জীবনযাপন করে। গুয়াতেমালার পল্লী উচ্চভূমির জীবনে মায়া সংস্কৃতির শেকড় এখনও গভীর। এসব এলাকায় এখনও বহু আদিবাসী মানুষ কোন না কোন মায়া ভাষাতে কথা বলেন, সনাতনী ধর্ম ও গ্রামীণ রীতিনীতি পালন করেন এবং ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও অন্যান্য হস্তশিল্প প্রস্তুত করে থাকেন। লাদিনো ও মায়া সংস্কৃতির এই সহাবস্থান গুয়াতেমালার সমাজে জটিলতার সৃষ্টি করেছে, যে সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। এই বিভাজন গুয়াতেমালার ইতিহাসের নানা টানাপোড়েন ও সংঘাতের প্রধান উৎস।
গুয়াতেমালার অর্থনীতি ঐতিহ্যগতভাবে কফি, কলা, চিনি ও অন্যান্য ক্রান্তীয় শস্য রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। দেশটির একটি ক্ষুদ্র ধনী গোষ্ঠী বড় বড় এস্টেট বা জমিদারির অধিকারী। অন্যদিকে কৃষিশ্রম সরবরাহকারী জনগোষ্ঠী, বিশেষত আদিবাসীরা অত্যন্ত দরিদ্র। গুয়াতেমালা ১৮২১ সালে স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর সামরিক স্বৈরশাসকেরা এর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে। বর্ধনশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সরকারি নিপীড়নের ফলে ১৯৬০-এ দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে গণতান্ত্রিক বেসামরিক শাসনের দিকে দেশটি এগোতে থাকে। ১৯৯৬ সালে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৩৬ বছর দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধে দুই লক্ষেরও বেশি গুয়াতেমালান নিহত বা নিখোঁজ হন।
গুয়াতেমালা দীর্ঘকাল স্প্যানীয় উপনিবেশে থাকে। এই কারণে তাদের রাষ্ট্র ভাষা হয় স্প্যানিশ। ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ এই সময়ের মধ্যে গৃহ যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯৬ এর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।
গুয়াতেমালা সংস্কৃতি শক্তিশালী প্রতিফলিত মায়ান এবং স্পেনীয় প্রভাব এবং গ্রামে পার্বত্য অঞ্চলের গরীব মায়ান গ্রামবাসী মধ্যে একটি বৈসাদৃশ্য হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা চলে আসে, এবং নগরকেন্দ্রিক এবং অপেক্ষাকৃত ধনী mestizos জনসংখ্যা (পরিচিত গুয়াতেমালা যেমন ladinos ) যিনি নগর ও কৃষি সমভূমি পার্শ্ববর্তী ব্যাপৃত ।