ক্রিস্টিনা আগিলেরা | |
---|---|
জন্ম | ক্রিস্টিনা মারিয়া আগিলেরা ১৮ ডিসেম্বর ১৯৮০ |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৯২–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জর্ডান ব্র্যাটম্যান (বি. ২০০৫; বিচ্ছেদ. ২০১১) |
সঙ্গী | ম্যাথু রাটলার (২০১০–বর্তমান; বাগদত্ত) |
সন্তান | ২ |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
লেবেল | আরসিএ |
ওয়েবসাইট | christinaaguilera |
ক্রিস্টিনা মারিয়া আগিলেরা (স্পেনীয়: ,[১] ইংরেজি: Christina Aguilera; জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৮০; ক্রিস্টিনা আগিলেরা নামে পরিচিত) হলেন একজন মার্কিন গায়িকা, গীতিকার, অভিনেত্রী এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তার অর্জনের মধ্যে পাঁচটি গ্র্যামি পুরস্কার, একটি লাতিন গ্র্যামি পুরস্কার এবং হলিউড ওয়াক অফ ফেমে বিদ্যমান তারকা অন্যতম। আগিলেরা ২০০৮ সালে রোলিং স্টোনের সর্বকালের ১০০ জন সেরা সঙ্গীতশিল্পীর তালিকায় ৫৮ নম্বরে স্থান অধিকার করেন এবং ২০১৩ সালে টাইম দ্বারা প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বার্ষিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রয়ের ফলে তিনি বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে একজন।[২]
নিউ ইয়র্ক শহরের স্টেটেন দ্বীপে জন্মগ্রহণ করা আগিলেরা পেনসিলভানিয়ায় তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। আগিলেরা ১৯৯৮ সালে আরসিএ রেকর্ডসের সাথে রেকর্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করার পূর্বে তার প্রারম্ভিক বছরগুলোতে বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে তার নিজের নামেই তিনি তার সর্বপ্রথম অ্যালবামটি প্রকাশ করেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক নম্বর স্থানে অর্জন করেছিলেন; এছাড়াও উক্ত অ্যালবামের তিনটি গান (জিনি ইন আ বোটল, ওয়াট আ গার্ল ওয়ান্টস এবং কাম অন ওভার বেবি (অল আই ওয়ান্ট ইজ ইউ)) মার্কিন চার্টের এক নম্বর স্থান অর্জন করেছিল। সমসাময়িক কিশোর পপ দৃশ্যে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত হলেও আগিলেরা ২০০২ সালে স্ট্রিপড এবং এর প্রধান একক "ডার্টি"-এর সাথে শৈল্পিক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, যেখানে তিনি যৌনতা প্রদর্শন করেছিলেন। বিউটিফুল নামক অ্যালবামের দ্বিতীয় একক গানে তার ক্ষমতায়ন অনুকূল সাড়া পায় এবং তা এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি সঙ্গীত হয়ে ওঠে।
আগিলেরা তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ব্যাক টু বেসিকস ২০০৬ সালে প্রকাশ করেছিলেন, যা পুরব অ্যালবামের মতো মার্কিন ১ নম্বর স্থান অধিকার করেছিল। এই অ্যালবামটি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের জ্যাজ, সোল এবং ব্লুজ থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করে তৈরি করা হয়েছিল এবং এতে শীর্ষ দশটি একক গান (অ্যাইন'ট নো আদার ম্যান, হার্ট এবং ক্যান্ডিম্যান) ছিল। তার পরবর্তী তিনটি অ্যালবাম বায়োনিক (২০১০), লোটাস (২০১২) এবং লিবারেশন (২০১৮); সবগুলোতে তিনি বিভিন্ন সঙ্গীত শৈলী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং সেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দশে পৌঁছেছে। একক শিল্পী ছাড়াও, আগিলেরা লেডি মারমালাদে, মুভস লাইক জ্যাগার, ফিল দিস মোমেন্ট, সে সামথিং এবং হোয় তেঙ্গো গানাস দে তি-এর মতো গানে অন্যান্য শিল্পীদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ চার্টে প্রবেশ করেছিলেন। সঙ্গীতের পাশাপাশি, আগিলেরা ২০১০ সালে বার্লেস্ক নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গানের প্রতিযোগিতা ভিত্তিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য ভয়েসে ছয় মৌসুম যাবত এক প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।